মুখ পরিষ্কার রাখতে আমরা কি করি না। কিন্তু আপনি কি কখনো কনুইয়ের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। প্রায়শই লোকেদের কনুই কালো হয়ে যায়। যার দিকে আমাদের চোখ যায় না, কিন্তু দেখতে খুব খারাপ লাগে। আমরা যখন ছোট হাতার কাপড় পরি, তখন আমাদের হাত আরও বেশি দেখা যায়। আপনিও যদি কনুইয়ের এই কালো ভাব দেখে কষ্ট পান। তাই সহজ কিছু ব্যবস্থার মাধ্যমে কনুইয়ের ডার্ক সার্কেল কমাতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই প্রতিকারগুলো কী কী।
কনুইয়ের কালচে ভাব দূর করুন এই সহজ উপায়ে
বেকিং সোডা এবং লেবু বেকিং সোডা ও লেবু একসাথে মিশিয়ে কনুইতে লাগালে কালো ভাব দূর হয়। এর মিশ্রণ তৈরি করতে, আপনি প্রথমে এক চা চামচ লেবুর রস নিন, এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা যোগ করুন, উভয়ই মিশিয়ে নিন এবং প্রায় 5 মিনিটের জন্য কনুইতে রেখে দিন এবং তারপর ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিনের মধ্যেই কালচে ভাব দূর হবে।
অ্যালোভেরার ব্যবহার- অ্যালোভেরা ব্যবহার করে কনুইয়ের কালো ভাব দূর করতে পারেন। ঘৃতকুমারীতে হলুদ মিশিয়ে লাগালে কালোভাব দূর হয়।
দুধে বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন দুধের সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে লাগালে কনুই কালো হওয়া রোধ করা যায়। আধা কাপ দুধ নিন এবং এতে প্রায় এক চা চামচ বেকিং সোডা যোগ করুন এবং এই মিশ্রণটি কনুই এবং হাঁটুতে লাগান। কয়েকদিনের মধ্যে কালো ভাব কমে যেতে পারে।
হলুদ, লেবু, বেকিং সোডা- বেকিং সোডায় হলুদ ও লেবু মিশিয়ে খেলে কালো ভাব দূর হয়। এর জন্য ১ টেবিল চামচ লেবু, ১ চা চামচ বেকিং সোডা, ১ চা চামচ হলুদ, সবগুলোকে সমান পরিমাণে মিশিয়ে নিন এবং এই পেস্টটি কনুইতে লাগান। এতে করে কয়েকদিনের মধ্যেই কালচে ভাব দূর হয়ে যাবে।
মধু এবং বেকিং সোডা মধুর সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে লাগালেও কালো ভাব দূর করা যায়। এর জন্য এতে এক চামচ মধু ও সমপরিমাণ সোডা মিশিয়ে এই পেস্টটি কনুই ও হাঁটুতে লাগিয়ে রাখুন ৫ মিনিট। এর পর ধুয়ে ফেলুন।
বেকিং সোডা পেস্ট – বেকিং সোডার পেস্ট তৈরি করতে দুই চামচ বেকিং সোডা নিন এবং এতে এক চামচ পানি যোগ করুন। পেস্টের মতো যতটা তৈরি করা যায় জল যোগ করুন, তারপর এই পেস্টটি কনুইতে লাগিয়ে স্ক্রাবের মতো পরিষ্কার করুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার কালো ভাব দূর হতে শুরু করবে। এছাড়াও মনে রাখবেন বেকিং সোডা নিয়মিত ব্যবহার আপনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।
দাবিত্যাগ: এই বিষয়বস্তু, পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে। এটা কোনোভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। স্পোর্টসকিদা হিন্দি এই তথ্যের দায় স্বীকার করে না।