গ্রীষ্মের ঋতু আসার সাথে সাথে খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ যত্ন নিতে হবে, কারণ গ্রীষ্মের ঋতুতে প্রচণ্ড রোদ ও আর্দ্রতার কারণে শরীর পানিশূন্য হতে শুরু করে। এমন অবস্থায় সেসব জিনিস খাওয়া উচিত, যা খেলে শরীরে শীতলতা ও শক্তি পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি গরমে শরীর হাইড্রেটও করে। তাই গ্রীষ্মের মৌসুমে ফল খাওয়া উচিত, কারণ ফল পুষ্টিগুণে ভরপুর। এর পাশাপাশি ফলের প্রভাবও শীতল। গ্রীষ্মকালে ফল খেলে অনেক রোগও সেরে যায়। আসুন জেনে নিই গ্রীষ্মকালে কোন ফল খাওয়া উপকারী বলে মনে করা হয়।
গরমে এই ফলগুলো খান
আঙ্গুর খান – গ্রীষ্মকালে আঙুর খাওয়া খুবই উপকারী। আঙুরে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে, যার কারণে শরীরে পানির অভাব হয় না। এছাড়াও আঙুরে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য, যার কারণে আপনি রোগ থেকে দূরে থাকেন।
তরমুজ খান গ্রীষ্মের মৌসুমে সবাই অবশ্যই তরমুজ খান। কারণ এটি স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। তরমুজে ৯০ শতাংশ পানি থাকে এবং এর প্রভাব শীতল। তাই গ্রীষ্মকালে তরমুজ সেবন করলে পানিশূন্যতার কোনো অভিযোগ থাকে না।
আম খাও- আমকে বলা হয় ফলের রাজা। আম গ্রীষ্মকালে পাওয়া একটি ফল। আমে ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম এবং আয়রন বেশি থাকে। তাই এর সেবন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। কিন্তু আমের প্রভাব গরম। তাই আম বেশি খাওয়া উচিত নয়।
আনারস খান আনারসেও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়, যা গ্রীষ্মকালে খেলে হজমশক্তিও ঠিক থাকে এবং শরীরে গ্লুকোজও পাওয়া যায়।
লিচু খাওয়া (লিচু খাওয়া) – গরমের মৌসুমে শরীর ঠান্ডা রাখতেও এটি খুবই উপকারী। কারণ লিচু খেলে শরীরে পানির অভাব হয় না। লিচু পুষ্টিগুণে ভরপুর। তাই এর সেবন স্বাস্থ্যের জন্য অগণিত উপকার নিয়ে আসে। লিচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন, সাইট্রিক অ্যাসিড এবং ফসফরাস রয়েছে।
দাবিত্যাগ: এই বিষয়বস্তু, পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে। এটা কোনোভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। স্পোর্টসকিদা হিন্দি এই তথ্যের দায় স্বীকার করে না।