সাট্টু খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।

গ্রীষ্মের ঋতুতে খাদ্যতালিকায় সাত্তু অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ সত্তুর একটি শীতল প্রভাব রয়েছে, যা শরীরকে ঠান্ডা ও হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি গ্রীষ্মের মৌসুমে সাত্তু খাওয়া অনেক রোগ প্রতিরোধ করে। কারণ সত্তুর পুষ্টিগুণে ভরপুর। আয়রন, সোডিয়াম, ফাইবার, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদান সত্তুর মধ্যে পাওয়া যায়, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাহলে চলুন এই প্রবন্ধের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক সাট্টু খাওয়ার উপকারিতা কি কি।

সাট্টু খেলে স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হয়।

ওজন কমানোর সাহায্য

আপনি যদি আপনার ক্রমবর্ধমান ওজন নিয়ে চিন্তিত হন এবং ওজন কমাতে চান তবে আপনার সাট্টু খাওয়া উচিত। কারণ সত্তুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

ভাল হজম স্বাস্থ্য

সত্তুর সেবন হজম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কারণ সত্তুর মধ্যে উপস্থিত ফাইবার হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং অ্যাসিডিটি, বদহজম, হজম সংক্রান্ত গ্যাসের মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

শরীর শক্তি পায়

আপনি যখন দুর্বল এবং অলস বোধ করেন তখন আপনি যদি সত্তু খান তবে এটি উপকারী। কারণ সত্তুর মধ্যে উপস্থিত আয়রন, প্রোটিনের মতো উপাদান সারাদিন শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

শরীর হাইড্রেটেড থাকে

গরমের মৌসুমে পানিশূন্যতার সমস্যা বেশি দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে আপনি যদি সাট্টু খান, তাহলে তা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। একই সঙ্গে এর ব্যবহার শরীরে শীতলতা আনে এবং হিট স্ট্রোক থেকেও রক্ষা করে।

ডায়াবেটিসে উপকারী

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সত্তু খাওয়া উপকারী। কারণ সত্তুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে

উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে সাট্টু সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়। কারণ সত্তুর মধ্যে রয়েছে ফাইবার, যা শরীরের ক্রমবর্ধমান খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক। যার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

রক্তের ক্ষয় দূর হয়

শরীরে রক্তশূন্যতার অভিযোগ থাকলে সত্তুর সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়। কারণ এতে উপস্থিত আয়রন শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। যার কারণে রক্তের অভাব দূর হয়।

দাবিত্যাগ: এই বিষয়বস্তু, পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে। এটা কোনোভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। স্পোর্টসকিদা হিন্দি এই তথ্যের দায় স্বীকার করে না।

সম্পাদনা করেছেন রক্ষিতা শ্রীবাস্তব


Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top